কিভাবে ফ্রিতে খুব দ্রুত টাকা ইনকাম করা যায়

কিভাবে ফ্রিতে খুব দ্রুত টাকা ইনকাম করা যায় আজ আমরা সেই সম্পর্কে জানবো। বর্তমান সময়ে সব চেয়ে আলোচিত একটি বিষয় হল কিভাবে ফ্রিতে দ্রুত ইনকাম করা যায়। ফ্রিতে ইনকাম করার জন্য বেশ কয়েকটি সাইট খুবই জনপ্রিয়। এবং কাজ করলে ইনকাম হওয়ার শতভাগ নিশ্চয়তা পাওয়া যায়। এছাড়া অনেক সাইট আছে যেগুলো ফ্রিতে ইনকাম হওয়ার কথা বলে প্রতারণা করে আসছে। কোন সাইডে কাজ করলে ফ্রিতে ইনকাম হবে তা নিয়ে বিস্তারিত জানবো।

কিভাবে-ফ্রিতে-খুব-দ্রুত-টাকা-ইনকাম-করা-যায়

ফ্রিতে ইনকাম করার জন্য বেশ কয়েকটি সাইট খুবই জনপ্রিয় তার মধ্যে অন্যতম হলো ফ্রিল্যান্সিং, ব্লগিং, ইউটিউবিং,ফেসবুকিং, আফিলেন্ট মার্কেটিং এবং কন্টেন্ট রাইটিং এর মত কিছু জনপ্রিয় কাজ নিয়ে আপনাদের সুনিশ্চিত ইনকামের ধারণা দিব। যাতে করে আপনারা ঘরে বসে ফ্রিতে দ্রুত টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আর যেই প্রতারিত সাইডগুলো রয়েছে সেগুলো থেকে আপনাদের সচেতন করব। চলুন আর দেরি নয় কিভাবে ফ্রিতে দ্রুত টাকা ইনকাম করা যায় সেই সম্পর্কে জানি।

পেজ সূচিপত্রঃ কিভাবে ফ্রিতে খুব দ্রুত টাকা ইনকাম করা যায়

ভিডিও তৈরি করে ফ্রিতে টাকা ইনকাম করার উপায়

ভিডিও তৈরি করে  ফ্রিতে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায় তা নিয়ে আপনাদের বিস্তারিত জানাবো। ভিডিও তৈরি করেও  বর্তমান সময়ে টাকা ইনকাম করা যায়। বিভিন্ন ধরনের ভিডিও তৈরি করে তা ফেসবুক কিংবা ইউটিউবে প্রচারের মাধ্যমে প্রতি মাসে আপনি ভালো পরিমানে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ভিডিও তৈরি করার জন্য কিছু অ্যাপস সম্পর্কে আপনাদের ধারণা দিব যাতে করে আপনারা ভিডিও তৈরি করে ফ্রিতে ইনকাম করতে পারেন।
  1. YouTube Partner Program ইউটিউবের Partner Program যোগ দিয়ে আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও আপলোড দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
  2. TikTok creator Fund TikTok এর creator Fund এ যোগ করে আপনি যেকোনো ভিডিও তৈরি করে আপলোড দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
  3. Instagram IGTV monetization Instagram এর  IGTV এর মাধ্যমে ভিডিও তৈরি করে তা আপলোড দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়
  4. Snapchat spotlight Snapchat এর spotlight ফিশার ইমেজ যোগ করে আপনি ক্রিয়েটিভ ভিডিও তৈরি করে ইনকাম করতে পারবেন।
তো অ্যাপসগুলো ব্যবহার করে আপনি আপনার মত করে ভিডিও তৈরি করে তা আপলোড দিয়ে ভিউ এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে এই অ্যাপসগুলো খুব সতর্কতার সহিত ব্যবহার করবেন।

ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করুন

কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করবেন সে সম্পর্কে সুনিশ্চিত ভাবে আপনাদের জানাবো। ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করতে হলে প্রথমেই আপনাকে নির্দিষ্ট কিছু দক্ষতা থাকতে হবে। যেমন ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক ডিজাইন, কন্টেন্ট রাইটিং, ইত্যাদি বিষয়ের উপর আপনার দক্ষতা থাকতে হবে। উক্ত বিষয়গুলোর উপর দক্ষতা অর্জন করে আপনাকে ফাইবার অ্যাপ ওয়ার্ক এবং ফ্রিল্যান্সার ডটকম এর মত ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে প্রোফাইল তৈরি করুন। এবং ক্লাইন্ট খুঁজে আপনি কাজ করতে পারবেন। এবং আপনার নির্ধারিত কাজগুলো শেষ করেই টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

প্রয়োজনীয় ধাপ

  1. দক্ষতা অর্জনঃ ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য প্রয়োজনীয় কিছু সাইডের উপর আপনার দক্ষতা থাকতে হবে। যেমন ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক ডিজাইন, কন্টেন্ট রাইটিং, এবং ভিডিও এডিটিং দক্ষতার সাথে ইত্যাদি শিখতে হবে।
  2. মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট তৈরিঃ ফাইবার, অ্যাপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার ডটকম ইত্যাদি। উক্ত আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেস গুলোতে একাউন্ট তৈরি করুন।
  3. প্রোফাইল তৈরিঃ আপনার অভিজ্ঞতা দক্ষতা ও পোর্টফলিও দিয়ে একটি আকর্ষণীয় প্রোফাইল
  4. ক্রিয়েট করুন।
  5. কাজের সন্ধানঃ ক্লাইন্ড এর কাছ থেকে কাজ পাওয়ার জন্য একটা প্রোফাইল থাকা খুবই আবশ্যক। এরপর প্রোফাইলে থাকা কাজের জন্য আবেদন বা বিট করুন। যারা নতুন রয়েছে তাদের জন্য ফাইবার একটি ভালো প্ল্যাটফর্ম। যেখানে আপনি আপনার সার্ভিস বা গিগ বিক্রি করে ইনকাম করতে পারবেন।
  6. প্রাসঙ্গিক অন্যান্য কাজঃ উপরের মূল কাজগুলো ছাড়াও আপনি ডেটা এন্ট্রি ট্রান্সক্রিপশন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট এবং অ্যাফিলিয়েন্ট মার্কেটিং করেও টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
প্রথমেই আপনি কোন প্রতিষ্ঠান বা কোন মাধ্যম থেকে ফ্রিল্যান্সিং শিখে উপরোক্ত নিয়মগুলো অনুসরণ করে ফ্রিতেই টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে আপনাকে নিরলস পরিশ্রম করতে হবে। যাতে করে প্রতি মাসে ভালো পরিমানে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ওয়েবসাইড তৈরি করে ইনকাম করুন

ওয়েবসাইট তৈরি করেও আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ওয়েবসাইট থেকে টাকা ইনকাম করার বেশ কিছু উপায় রয়েছে। যেমন ব্লগিং, এফিলিয়েন্ট মার্কেটিং, এবং বিজ্ঞাপন দেখিয়ে। এছাড়াও আপনি ওয়েবসাইট তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন। এছাড়াও ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করেও আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এ সম্পর্কে আরো কিছু বিস্তারিত জানুন।
জনপ্রিয় কিছু পদ্ধতি
  1. গুগল এডসেন্সঃ আপনার ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ইনকাম করার একটি জনপ্রিয় পদ্ধতি হল গুগল এডসেন্স। এর জন্য আপনাকে আপনার ওয়েবসাইটে ভালো মানের কন্টেন্ট পাবলিশ করতে হবে। এর জন্য আপনাকে এসইও সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে।
  2. অ্যাফিলিয়েন্ট মার্কেটিংঃ এফিলিয়েন্ট মার্কেটিং হল অন্যদের পণ্য বা পরিষেবা প্রচার করে আয়ের মাধ্যম। অর্থাৎ অন্যদের পূর্ণ বা পরিষেবা প্রচার করে কমিশন উপার্জনের একটি জনপ্রিয় উপায় হল অ্যাফিলিয়েন্ট মার্কেটিং।
  3. ব্লগিংঃ কোন একটি বিষয়ের উপর লেখালেখি করে এবং সেখান থেকে বিজ্ঞাপন লিংক যুক্ত করেও আয় করা যায়।
  4. ওয়েবসাইট বিক্রিঃ একটি ওয়েবসাইট ক্রিয়েট করে তারপর সেখানে ভালো মানের কন্টেন্ট পাবলিশ করে সেটাকে মনিটাইজেশন করে ভালো একটা অ্যামাউন্টে বিক্রি করতে পারবেন। মনিটাইজেশন ওয়েবসাইট বর্তমান মূল্য অনেক বেশি।
  5. ফ্রিল্যান্সিংঃ ওয়েব ডিজাইন ,কনটিংরাইটিং, এসিও এবং ভিডিও এডিটিং এর মত সাইডে যদি দক্ষতা থাকে তাহলে ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে টাকা করে ইনকাম করা যায।
উপরোক্ত নির্দেশিত কাজগুলোর অনুসরণ করার মাধ্যমে ওয়েবসাইট থেকে আপনি সহজেই ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

অনলাইনে কোর্স বিক্রি করে আয় করুন

অনলাইনে কোর্স বিক্রি করেও ফ্রিতে ভালো পরিমাণে টাকা উপার্জন করা যায়। বর্তমান যুগ তথ্যপ্রযুক্তির যুগ। এই যুগে পড়াশোনা,গ্রাফিক ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং, রান্না, সংগীত, ভাষা শিক্ষা কিংবা পরীক্ষার প্রস্তুতির মত কোর্স তৈরি করে টাকা ইনকাম করা যায়। অনলাইনে কোর্স বিক্রি করতে হইলে প্রথমে আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিং এ ছাড়া গ্রাফিক ডিজাইন উক্ত বিষয়ে দক্ষতা থাকতে হবে  এছাড়াও ভিডিও এডিটিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।


উপরোক্ত সাইট গুলোতে দক্ষতা অর্জন করে এই ধরনের কোর্স তৈরি করে টাকা ইনকাম করুন। যে বিষয়ে কোর্স তৈরি করবেন অবশ্যই সেই বিষয়ে আপনাকে ভালোভাবে উপস্থাপন করতে হবে। এবং সুন্দরভাবে কোর্সটিকে প্রচার করতে হবে তাহলে উক্ত সাইট থেকে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। বর্তমানে কোর্সের চাহিদা বেশি থাকার একমাত্র কারণ হলো মানুষ দিন দিন অনলাইন মুখি হচ্ছে। তাই আপনি যদি উক্ত সাইডে কাজ করেন তাহলে এখান থেকে ভালো কিছু সম্ভব।   

ডিজিটাল মার্কেটিং করে ইনকাম করুন

ডিজিটাল মার্কেটিং করেও ফ্রিতে বিভিন্ন উপায়ে উপার্জন করা যায়। যেমন ফ্রিল্যান্সিং, নিজের ব্যবসা এবং কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে। ডিজিটাল মার্কেটিং সাইডে আইনির্ভর করে আপনার দক্ষতা অভিজ্ঞতা ও কাজের কৌশলের ওপর। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন।
  1. ফ্রিল্যান্সিংঃ ক্লায়েন্টের জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং সেবা যেমন এসইও, ম্যানেজমেন্ট,সোশ্যাল মিডিয়া ইত্যাদি সরবরাহ করে আয় করা যায়।
  2. কনটেন্ট তৈরিঃ ব্লগ লিখে বা ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে গুগল এডসেন্স বা অন্যান্য বিজ্ঞাপন থেকে আয় করা যায়।
  3. সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংঃ সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং যেমন ফেজবুক বা ইনস্টাগ্রামের মত প্লাটফর্মে পেজ ম্যানেজ বা পেইড ক্যাম্পেইন পরিচালনার মাধ্যমে উপার্জন করা যায়।
  4. ই কমার্সঃ ই-কমার্সের মাধ্যমেও অনলাইনে ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করে উপার্জন করা যায়।
  5. আয় এর পরিমাণঃ ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপর দক্ষ হয়ে প্রতিমাসে অনেক টাকা আয় করা যায়। প্রথমে আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিং সংক্রান্ত প্রত্যেকটি সেক্টরে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। দক্ষতা অর্জন করার ফলে আপনি অনেক ধরনের কাজ করার সুযোগ পাবেন। একটি প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিতে ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ হিসেবে অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার উপর নির্ভর করে প্রতিমাসে তিন লক্ষ টাকা বেতন হতে পারে।
অনেক ক্ষেত্রে এ কাজগুলো করে প্রতি মাসে এক লক্ষ টাকা বা তার চেয়েও বেশি ইনকাম করা সম্ভব। তাই ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপর দক্ষতা অর্জন করে ভালো পরিমানে টাকা উপার্জন করতে পারবেন।  

কপিরাইটিং করে ইমকাম করুন

কপিরটিং করেও ফ্রিতে ইনকাম করতে পারবেন। কপিরটিং করে ইনকাম করতে হলে আপনাকে প্রথমেই দক্ষতা অর্জন করতে হবে এবং ক্লায়েন্ট এর জন্য আকর্ষণীয় ও প্রচারণামূলক লেখা তৈরি করতে হবে। আপনি ফ্রিল্যান্সার হিসেবে বিভিন্ন প্লাটফর্মে ও যে কোন কোম্পানিতে বেতনভুক্ত কপি রাইটার হিসেবে কাজ করতে পারবেন। আপনার আয়ের পরিমাণ নির্ধারণ করবে, আপনার যোগ্যতা দক্ষতা এবং ক্লাইন্টের সংখ্যার ও কাজের ধরনের উপর। কপিরাইটিং এর মাধ্যমে আই করার উপায় সমূহ
ফ্রিল্যান্সিংঃ আপওয়ার্ক, ফাইবার এবং অন্যান্য ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মে প্রোফাইল ক্রিয়েট করে ক্লাইন্ট খুঁজতে পারেন।
বেতনভুক্ত চাকরিঃ বেতনভুক্ত চাকরি যেমন বিভিন্ন বিজ্ঞাপন বা মার্কেটিং সংস্থায় এন্ট্রি লেভেল কপিরাইটের হিসেবে কাজ করতে পারেন। এভাবেই আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং সাইডে দক্ষতা বৃদ্ধি করে কপিরাইটিং সেক্টরে ইনকাম করতে পারবেন।                                                                                                                                                                        

কনটেন্ট মনিটাইজেশন করে ইমকাম করুন

কন্টেন্ট মনিটাইজেশন করে ফ্রিতেই ইনকাম করতে পারবেন। প্রথমেই আপনাকে একটি ওয়েবসাইট ক্রিয়েট করতে হবে এরপর আপনি সেখানে ভালো মানের কন্টেন্ট পোস্ট করতে হবে। আপনার কনটেন্টের কোয়ালিটি যত ভালো হবে তত বেশি ভিজিটর পাবেন। এর জন্য আপনাকে আর্টিকেল রাইটিং সেক্টরে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। সহজ সাবলীল ভাষায় আর্টিকেল লিখে আপনার ওয়েবসাইটে পোস্ট করতে হবে। আপনার পোস্ট যেন পাঠকগণের সহজেই বোধগম্য হয়।

ভালো মানের কনটেন্ট লেখার ফলে গুগল কন্টেন মনিটাইজেশন দিয়ে থাকে। কন্টেন মনিটাইজেশন এর মাধ্যমে আপনার ইনকাম শুরু হবে। এই ইনকাম সম্পূর্ণই নির্ধারণ করবে আপনার কাজের উপর ও আপনার দক্ষতার উপর। এই ভাবেই আপনি কন্টেন মনিটাইজেশন থেকে খুব সহজেই প্রতি মাসে লাখ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।                                                                                                                                         

অনলাইন টিচিং করে ইমকাম করুন

অনলাইনে টিচিং ভিডিও করেও ফ্রিতে ইনকাম করতে পারবেন। এর জন্য প্রথমেই আপনাকে ভিডিও
এডিটিং সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। এছাড়া আপনি বিভিন্ন টিচিং ভিডিও তৈরি করতে পারেন যেমন পাঠ্যবই সংক্রান্ত, রান্নার সংক্রান্ত, গান শিক্ষা ইত্যাদি বিষয়ের উপর আপনি অনলাইনে টিচিং ভিডিও তৈরি করতে পারবেন। বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তির যুগে মানুষ অনলাইনে এরপর নির্ভর হয়ে পড়ছে। যার ফলে বিভিন্ন কারণেই মানুষ অনলাইনে সাহায্য নেয়।

তাই আপনি যদি অনলাইনে টিচিং করতে চান তাহলে আপনার ভবিষ্যৎ অনেক ভালো হবে আশা করা যায়। এর জন্য আপনাকে ভালো মানের ভিডিও তৈরি করতে হবে। এতে করে আপনার ভিজিটর বৃদ্ধি পাবে। যার ফলে ফেসবুক এবং ইউটিউব থেকে আপনি টিচিং করে ভালো পরিমানে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

ভয়েস সার্ভিস দিয়ে ইমকাম করুন

ভয়েস সার্ভিস দিও টাকা ইনকাম করা যায়। বর্তমানে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেখানে ভয়েস দিয়ে ইনকাম করা হয়। এছাড়াও ভিডিও এডিটিং এ ভয়েজ এর গুরুত্ব অপরিসীম। কিছু ব্যবসা প্রচারণার জন্য একসাথে গ্রাহককে কল বা এসএমএস এর মাধ্যমে সার্ভিস দেওয়া হয়। এছাড়াও মোটিভেশনাল স্পিকার ক্যারিয়ার গাইডার বা কাউন্সিলর যদি হতে পারেন সেই ক্ষেত্রে ভয়েস নাম্বার দিয়ে সরাসরি কল সেকশন করতে পারবেন প্রতিটি সেশনে চার্জ নিয়ে আয় করা যায়।

এছাড়াও স্টুডেন্টদের জন্য এডুকেশন হেল্পলাইন তৈরি করতে পারেন যেমন ভর্তি সংক্রান্ত বিষয় এবং বিদেশে পড়াশোনা স্কলারশিপ ইত্যাদি ক্ষেত্রেও ভয়েজ হেল্পলাইন সার্ভিসের জন্য ফি নেওয়া হয় এসব ক্ষেত্রেও ভয়েজ দিয়ে ইনকাম করা যায়। এছাড়াও অনেক কাজেই ভয়েস সার্ভিস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপনি চাইলেই উক্ত সেক্টরে কাজ করতে পারবেন।

অ্যাপ তৈরি করে ইমকাম করুন

বর্তমান সময়ে অ্যাপস তৈরি করে ফ্রিতে ইনকাম করা যায়। অনেক অ্যাপস রয়েছে যেগুলোতে কাজ করার মাধ্যমে অনেক টাকা ইনকাম করা যায়। চলুন সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানি।
 কিছু জনপ্রিয় উপায়ঃ
  1.  ফ্রিল্যান্সিং অ্যাপসঃ আপওয়ার্ক ও ফাইভার এর মত এপ্স দিয়ে বিভিন্ন প্রজেক্টে কাজ করে ইনকাম করা যায় যেমন গ্রাফিক্স ডিজাইন কন্টেন্ট রাইটিং ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট ইত্যাদি কাজ করে।
  2.  ফটোগ্রাফি অ্যাপসঃ Foap এর মত অ্যাপস ব্যবহার করে ছবি তোলে বিক্রি করে আয় করা যায়।  
  3. মনিটাইজেশনঃ এছাড়াও আপনি যদি অ্যাপস তৈরি করতে পারেন বা জানেন তাহলে নিজস্ব অ্যাপ তৈরি করে তাতে বিজ্ঞাপন বা ইন অ্যাপ পারচেজ যুক্ত করে ইনকাম করতে পারবেন। 

ফেসবুকিং করে ইনকাম করুন

ফেসবুকিং করে ফ্রিতে হিউজ টাকা ইনকাম করা যায়। বর্তমান সময়ের সবচেয়ে ব্যবহারযোগ্য একটি অ্যাপস হইল ফেইসবুক যার জনপ্রিয়তা শুধু বাংলাদেশ নয় সমস্ত পৃথিবী। ফেসবুক থেকেও হিউজ টাকা ইনকাম করা যাই। বিভিন্ন ধরনের ভিডিও, মার্কেটিং ভিডিও ইত্যাদি নানান উপায়ে ফেসবুক থেকে ইনকাম করা যায়। আয়ের প্রধান উপায় গুলো ভিডিও মনিটাইজেশনঃ আপনার তৈরি করা ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে উপার্জন করতে পারেন। এর জন্য আপনার পেজটিকে মনিটাইজড করতে হবে এবং নির্ধারিত নিয়ম যেমন সুনির্দিষ্ট সংখ্যক ফলোয়ার ও ভিউ নিয়ম গুলো অনুসরণ করতে হবে। তাহলে ইনকাম শুরু হবে। এর জন্য আপনাকে নির্দিষ্ট সংখ্যক ফলোয়ার এবং কিছু শর্ত পূরণ করা বাধ্যতামূলক বা করতে হবে। প্রোফাইলে প্রফেশনাল মোডঃ আপনার ব্যক্তিগত প্রোফাইল টিকে প্রফেশনাল মোডে রূপান্তর করতে হবে। তারপর কন্টেন মনিটাইজেশন এর মাধ্যমে ইনকাম শুরু হবে। 
  1.  ফেসবুক শপঃ একটি ব্যবসা পেজ তৈরি করে সেখানে বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করতে পারেন। যেখানে আপনি অন্য বিক্রি করে ভালো পরিমানে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এর জন্য আপনার পণ্যের কোয়ালিটি ভালো রাখবেন এতে করে আপনার ক্রয় বিক্রয় অনেক গুনে বৃদ্ধি পাবে।                                   
  2. ফেসবুক গ্রুপঃ একই নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর ভিত্তি করে একটি ফেসবুক গ্রুপ তৈরি করতে হবে। যাতে করে কমিউনিকেশন তৈরি করা যায়। এবং সেই গ্রুপে থেকে সহজেই পণ্য বা সেবা বিক্রি করে উপার্জন করতে পারেন।
  3. ফেজবুক স্টারঃ আপনার লাইফ বা ভিডিও দেখার পরে আপনাকে ভিজিটর যেই স্টর দিবে তার টাকাতে কনভার্ট করে ইনকাম করতে পারবেন।
আপনার পেজে অন্তত 300 ফলোয়ার থাকতে হবে এবং একই সাথে আপনার প্রোফাইলে নির্দিষ্ট সংখ্যক যেমন ৫০০ জন ফলোয়ার থাকতে হবে এবং কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করতে হবে তবে আপনি ফেসবুক থেকে ইনকাম করতে পারবেন। উপরোক্ত নিয়মগুলো অনুসরণ করে আপনি খুব সহজেই ফেসবুক থেকে ভালো পরিমানে।

ইউটিউবিং করে ইনকাম করুন

ইউটিউবিং করেও ফ্রিতে ইনকাম করা যায়। বর্তমান সময়ের ইনকাম করার এটি একটি জনপ্রিয় সাইট। অসংখ্য মানুষ রয়েছে যারা প্রতিনিয়ত ইউটিউবিং করে বিপুল পরিমাণে অর্থ উপার্জন করছে। ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করার মাধ্যমে তারা এই অর্থ উপার্জন করে। ইউটিউব থেকে আয়ের প্রধান মাধ্যম গুলো হল বিজ্ঞাপন, অ্যাফিলিয়েন্ট মার্কেটিং, পণ্য বিক্রয়, ইত্যাদির মাধ্যমে ইনকাম করা যায়। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন।
  1. বিজ্ঞাপন থেকে আয়ঃ ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামে মাধ্যমে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে উপার্জন করা যায় যা আপনার ভিডিওতে দেখানো হবে।
  2. এফিলিয়েন্ট মার্কেটিংঃ অ্যাফিলিয়েন্ট মার্কেটিং এর মাধ্যমে অর্থাৎ আপনার ভিডিওতে এফিলিয়েন্ট লিঙ্ক ব্যবহার করে পণ্য বিক্রির মাধ্যমে যে কমিশন পাবেন সেখান থেকে ভালো পরিমানে টাকা উপার্জন করা যাই। 
  3. পণ্য বিক্রিঃ আপনি আপনার নিজস্ব ব্যান্ডের পণ্য তৈরি করে খুব সহজেই ইউটিউবের মাধ্যমে প্রচার করে তা বিক্রি করতে পারবেন। এটি একটি খুবই জনপ্রিয় ব্যবসা। আপনার পণ্যের কোয়ালিটি ভালো হলে খুব সহজে এখান থেকে প্রতিমাসে লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 
  4. চ্যানেল মেম্বারশিপঃ দর্শকদের চ্যানেল মেম্বারশীপ কেনার সুযোগ দিয়ে অতিরিক্ত সুবিধা প্রদান করতে পারেন এবং এর মাধ্যমে আপনার ইনকামের সুযোগ বৃদ্ধি পাবে।
আমার দেখানো উক্ত নিয়ম গুলো অনুসরণ করলে খুব সহজেই ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে
পারবেন। এবং অবশ্যই আপনাকে সততা ও স্বচ্ছতা সহিত কাজ করতে হবে। আপনার পণ্য বা ভিডিও ভালো হলে খুব সহজেই আপনি এখান থেকে ইনকাম করতে পারবেন।

শেষে কিছু কথা 

আজকের এই আর্টিকেলটি কি সম্পর্কে লেখা হয়েছে তা নিশ্চয়ই আপনারা এতক্ষণে পড়েছেন। চেষ্টা করেছি কিভাবে ফ্রিতে দ্রুত টাকা ইনকাম করা যায় সেই সম্পর্কে আপনাদের জানাতে। উপরোক্ত পোস্ট গুলা পড়লে আপনি ইনকাম করার একাধিক সোর্স সম্পর্কে জানতে পারবেন। এবং যেই নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করতে বলেছে সেগুলো যদি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে করেন তাহলে অবশ্যই আপনি সহজেই সফলতা পাবেন ইনশাআল্লাহ। 

সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ে কাজ শুরু করুন আশা করা যায় খুব তাড়াতাড়ি আপনি ইনকাম করতে পারবেন/। আজকে এই পোস্টটি যদি আপনার ভালো লাগে অবশ্যই শেয়ার করতে ভুলবেন না। আপনাদের সব সময় সেরা কিছু দেওয়ার চেষ্টা করব। এখন থেকেই শুরু করুন আপনার পথ চলা।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

Md.Mashud Rana
Md.Mashud Rana
আমি একজন ডিজিটাল মার্কেটর। আমি আর্টিকেল লেখা থেকে শুরু করে সব ধরনের ডিজিটাল মার্কেটিং কাজ সম্পর্কে অবগত আছি। সব সময় আপনাদের সেরা কিছু দেওয়ার চেষ্টা করি।