গুগল আমার বিয়ে কবে হবে
প্রিয় পাঠক, গুগল আমার বিয়ে কবে হবে বা কার সাথে হবে আজকে এই নিয়ে জানবো। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যাদের সময় মত বিয়ে হচ্ছে না। অনেকেই বিভিন্ন সময় গুগলে সার্চ করে যে গুগল আমার বিয়ে কবে হবে। আজকে আমরা জানবো বিয়ে না হলে কি করতে হবে এবং কি করা উচিত, বিয়ে না হওয়ার দোয়া, আমল ইত্যাদি নিয়ে বিস্তারিতভাবে একটি কনটেন্ট লিখব। যাতে করে আপনার স্পষ্ট ধারণা পাবেন।
চলুন এখন আমরা জানবো যে গুগল আমার বিয়ে কবে হবে, আমার বিয়ে কার সাথে হবে, বিয়ে না হলে কি করা উচিত, ৪০ দিনের মধ্যে বিয়ে হওয়ার আমল , ৭ দিনে মধ্যে বিয়ে হওয়ার আমল, ছেলে ও মেয়েদের তাড়াতাড়ি বিয়ে হওয়ার আমল ইত্যাদি সম্পর্কে স্পষ্টভাবে জানবো। আপনি এই কনটেন্টি মনোযোগ দিয়ে পড়লে গুগল আমার বিয়ে কবে হবে বা কার সাথে হবে এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
সূরা আদ দোহা ও সুরত কায়সারের ২৪ নং আয়াত পড়লে অর্থাৎ যদি কোন ছেলে সূরা আল কাসাস এর ২৪ নম্বর আয়াত ১০০ বার পড়লে মহান আল্লাহ তায়ালা তার বিবাহের খুব দ্রুত ব্যবস্থা করে দেবেন। আয়াতটি হলো।
উচ্চারণঃফাসাক্বা লাহুমা ছুম্মা তাওয়াল্লা ইলাজজিল্লি ফাক্বালা রাব্বি ইন্নি লিমা আংযালতা ইলাইয়্যা মিন খায়রিং ফাক্বির।
হযরত মুসা আলাইহিস সালাম যখন একাকী থাকতেন বা একা অনুভব করতেন তখন উক্ত দোয়াটি পড়তেন।
আর যদি মেয়েরা প্রতিদিন সূরা দোহা 11 বার তেলাওয়াত করে বা পাঠ করে তাহলে মহান আল্লাহ তাআলা তার জন্য উত্তম পাত্রের ব্যবস্থা করে দেবেন।
এছাড়া যেসব ছেলেমেয়েদের বিয়ে হয় না তারা যদি সুরা তওবার ১২৯ নং আয়াত নিয়মিত পাঠ করে তাহলে তাদের খুব দ্রুত বিয়ে হবে ইনশাল্লাহ। এর সাথে 19 বার বিসমিল্লাহ ১১০০ বার সূরা তওবা 129 নং আয়াত ১০০ বার দরুদ শরীফ ও শেষে ১৯ বার বিসমিল্লাহ পড়তে হবে। উক্ত আয়াতটি হলো
উচ্চারণঃ ফাইং তাওয়াল্লাও ফাকুল হাসবিয়াল্লাহু লা ইলাহা ইল্লাহুয়া আলাইহি তাওয়াক্কালতু ওয়া হুয়া রাব্বুল আরশিল আজিম।
এছাড়া ও প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ শেষে আলহামদুলিল্লাহ ৩৩ বার পড়তে হবে
উক্ত আমলগুলো নিয়মিত করলে ইনশাআল্লাহ সাত দিনের মধ্যে বিয়ে হবে।
চলুন এখন আমরা জানবো যে গুগল আমার বিয়ে কবে হবে, আমার বিয়ে কার সাথে হবে, বিয়ে না হলে কি করা উচিত, ৪০ দিনের মধ্যে বিয়ে হওয়ার আমল , ৭ দিনে মধ্যে বিয়ে হওয়ার আমল, ছেলে ও মেয়েদের তাড়াতাড়ি বিয়ে হওয়ার আমল ইত্যাদি সম্পর্কে স্পষ্টভাবে জানবো। আপনি এই কনটেন্টি মনোযোগ দিয়ে পড়লে গুগল আমার বিয়ে কবে হবে বা কার সাথে হবে এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
পেজ সূচিপত্রঃ গুগল আমার বিয়ে কবে হবে
- গুগল আমার বিয়ে কবে হবে বা কার সাথে হবে -আমার বিয়ে হচ্ছে না কেন
- বিয়ে না হলে কি করা উচিত
- বিয়ে করার সঠিক বয়স
- বিয়ে নিয়ে পবিত্র কুরআনে কি বলা হয়েছে
- তিনদিনের মধ্যে বিয়ে হওয়ার আমল
- সাত দিনের মধ্যেই বিয়ে হওয়ার আমল
- 40 দিনের মধ্যে বিয়ে হওয়ার আমল
- ছেলেদের তাড়াতাড়ি বিয়ে হওয়ার আমল ও মেয়েদের তাড়াতাড়ি বিয়ে হওয়ার আমল
- বিয়ের ক্ষেত্রে মেয়েদের কি দেখা উচিত
- বিয়ের ক্ষেত্রে ছেলেদের কি দেখা উচিত
- শেষের কিছু কথা
গুগল আমার বিয়ে কবে হবে বা কার সাথে হবে -আমার বিয়ে হচ্ছে না কেন
গুগল পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন। যেখানে আপনি যে কোন বিষয়ে
সার্চ দিয়ে সঠিকভাবে জানতে পারবেন। এবং বিভিন্ন তথ্য খুঁজতে গুগলের বিকল্প
নাই। একটি মজার প্রশ্ন গুগল আমার বিয়ে কবে হবে? গুগল কি বলতে পারবে আপনার
বিয়ে কবে হবে? যদি এমন প্রশ্ন গুগল কে করেন তাহলে গুগল কি উত্তর দিবে? প্রথমে
আমাদের জানতে হবে যে গুগল একটি প্রোগ্রাম যা মানুষের ব্যক্তিগত জীবনের বা
ভবিষ্যৎ সম্পর্কে কোন ধারণা দিতে অক্ষম।
তবে বিয়ের বিভিন্ন বিষয়ে গুগল আপনাকে সাহায্য করতে পারে যেমন
বিয়ের আয়োজন সম্পর্কিত তথ্য, বাজেট নির্ধারণ এর বিষয়ে। অর্থাৎ আপনার বিয়েতে
কেমন বাজেট করলে একটি সুন্দর অনুষ্ঠান হবে। কিংবা বিয়েতে কি ধরনের পোশাক
পড়বেন ইত্যাদি সম্পর্কে গুগল আপনাদের বিস্তারিত জানাতে পারবে। বিয়ের বিষয়ে
মহান আল্লাহ পাক ছাড়া কেউই জানে না, যে আপনার বিয়ে কখন বা কার সাথে হবে।
কথায় আছে জন্ম মৃত্যু বিয়ে সবকিছুই মহান আল্লাহ তা'আলার ঠিক করেন।
বিয়ে না হলে কি করা উচিত
প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরেও যদি বিয়ে না হয়, তাহলে আপনাকে ব্যক্তিগত ও মানসিক
বিকাশের মনোযোগ দেওয়া বা নিজের আর্থিক ও সামাজিক অবস্থা সুসংহত করা এছাড়াও
ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলতে হবে। এছাড়াও আপনার যদি বিবাহযোগ্য ছেলে বা মেয়ে
থাকে। যদি তাদের কোনো কারণে বিয়ে না হয়। বা বারবার বিয়ে ভেঙে যাচ্ছে। যদি
এমন সমস্যার সম্মুখীন হন, তাহলে অবশ্যই আপনাকে আল্লাহর কাছে দোয়া ও কুরআন
ও হাদিস বর্ণিত আমল করতে হবে।
আপনার বিবাহযোগ্য ছেলে বা মেয়ের বিয়ে না হলে সেই ছেলে বা মেয়ের পিতা-মাতার
যেকোনো একজনকে ছেলে মেয়ের বিয়ের নিয়তে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়তে হবে। তারপর
নামাজ শেষে ইয়া লতীফু অর্থঃ "হে সুক্ষ্ণ দর্শক" ১০০ বার পড়তে হবে। আবার ছেলে
বা মেয়ে উভয়ই প্রতিদিন এই দোয়া ৫০০ বার পাঠ করবে। তাহলে ইনশাআল্লাহ আপনার
ছেলে বা মেয়ের খুব দ্রুত বিয়ে হবে। বিয়ে
বিয়ে করার সঠিক বয়স
ছেলেদের ক্ষেত্রে
বিয়ে শুধুমাত্র বয়স নয়, এর সাথে জড়িয়ে আছে অনেকগুলো বিষয়। যে বিয়ে
করছে সেই ছেলে বা মেয়ে মানসিক ও শারীরিকভাবে প্রস্তুত কিনা, জীবনের এত বড়
সিদ্ধান্ত বা দায়িত্ব পালনের জন্য নিজেকে উপযুক্ত মনে করে কিনা,
ক্যারিয়ারের কোন অবস্থানে আছে এমন অনেক বিষয়ই জড়িয়ে থাকে বিয়ের
ক্ষেত্রে। সবদিক থেকে উপযুক্ত না হলে অনেকেরই বিয়ের বয়স পার
হয়ে যায়। এক্ষেত্রে মানসিক একটা চাপ সৃষ্টি হয়। বিয়েরও একটা সঠিক
সময় আছে। সেই সময় বিয়ে করলে সংসার গুছিয়ে নেওয়া জন্য ভালো। আধুনিক
সমাজ এটা অনুসরণ করে।
২০১৫ সালে বিয়ে নিয়ে নিকোলাস উলুফফিঙ্গার একটি গবেষণা চালায় যেখানে
তিনি বিয়ের আদর্শ সময়ে বলেছেন ২৮ থেকে ৩২ বছরের মধ্যে। উলুফফিঙ্গার এর এই
মতবাদটি সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। কারণ অপ্রাপ্ত বয়সে বিয়ে হলে
সেই সংসার অনেক ক্ষেত্রেই বিচ্ছেদের সম্ভাবনা থাকে। তাই ২৮ থেকে ৩২ বছরের
এই সময়টাকে একটি উপযুক্ত সময় হিসেবে গবেষকগণ মনে করেন। এবং এছাড়াও এই
মতবাদটি সব দেশের জন্যই প্রযোজ্য। উক্ত বয়সটি ছেলেদের জন্য গ্রহণ
যোগ্যতা পেয়েছে। ইসলাম অনুযায়ী বিয়ের পর আল্লাহ তায়ালা দম্পতির
রিজিকের ব্যবস্থা করে দেন।
মেয়েদের ক্ষেত্রে
খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হলো মেয়েদের বিয়ে করার সঠিক বয়স কত? এই
বিষয়টা নিয়ে প্রতিনিয়তই অনেক ঘটনায় ঘটে যাচ্ছে। বিয়ে নির্ভর করে সেই
দেশের নিয়ম কানুনের উপরে অর্থাৎ যে নিয়ম তারা ঠিক করবে সেই অনুযায়ী
বিয়ে দিতে হবে। তবে ইসলামিক দৃষ্টিতে বলা হয়েছে যে একটি মেয়ে যদি
বালেগ হয়ে যায় তাহলে বিবাহ জায়েজ হবে।
বালেগ অর্থ-মেয়ের যদি শাটিকে মানসিক ভাবে প্রাপ্তবয়স্ক হয় অর্থাৎ
বয়ঃসন্ধি পেরিয়েছে এমন অবস্থাকেই ইসলামিক দৃষ্টিতে বালেগ বলে। একটু
সহজ ভাবে বলতে গেলে, এমন একটি বয়সে পৌঁছানো যে বয়সে মেয়েরা
ধর্মীয়ভাবে বড় হয়ে যায় অর্থাৎ নিজের কাজ নিজেই করতে পারে। যদি এমন
যোগ্যতা থাকে তাহলে সেই মেয়েকে তার পরিবার পাত্রস্থ করতে পারবে। তবে
আমাদের বাংলাদেশের একটি মেয়ের বয়স ১৮ হতে হবে। নয়তো তা বাল্যবিবাহ গণ্য
হবে।
বিয়ে নিয়ে পবিত্র কুরআনে কি বলা হয়েছে
বিয়ে নিয়ে পবিত্র কুরআন ও হাদিসে অসংখ্য বার বলা হয়েছে। বিয়ে হল মহান
আল্লাহ তা'আলার এক বিশেষ নিয়ামত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম এর সুন্নত। এছাড়াও বিয়ে করা ফরজ ইবাদত। বিয়ের মাধ্যমে
ঈমানের পূর্ণতা পাই। বিয়ের হল যুবক-যুবতীর চরিত্র গঠনের অন্যতম
সহায়ক উপাদান। এছাড়াও বিয়ের মাধ্যমে জৈবিক চাহিদা পূরণ মানসিক প্রশান্তি
লাভ এবং পরিবার গঠনের একমাত্র উপায় হচ্ছে। বিয়ে করা
মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের বিয়ের ব্যাপারে উৎসাহ দিয়েছেন। আল্লাহ
তায়ালা পবিত্র কুরআনে এই প্রসঙ্গে বলেন,
"আর এক নিদর্শন এই যে, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের
সঙ্গিনীদের সৃষ্টি করেছেন। যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তিতে থাকো। এবং
তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক প্রীতি ও দয়া সৃষ্টি করেছেন"( সূরা রুম
আয়াত ২১ )
স্বামী স্ত্রী একে অপরের জন্য পরিপূরক। একজন ছাড়া অন্যজনের চলা খুবই
কষ্টকর। এই প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন,
"তারা অর্থাৎ স্ত্রীগণ তোমাদের পোশাক এবং তোমরা অর্থাৎ স্বামীগণ তাদের
পোশাকস্বরূপ" ( সূরা বাকারা আয়াত ১৮৭ )
বিয়ে একজন পুরুষের জন্য অনেক ক্ষেত্রেই কঠিন হয়ে যায়, কারণ এটা নির্ভর
করে একটা পুরুষের আর্থিক অবস্থার ওপর। আর্থিক অবস্থা ভালো না হলে হামেশাই
বিবাহ অনেক কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে যায়। অনেক পুরুষরাই বিয়ের উপযুক্ত
বয়স হলেও অর্থাভাবের কারণে বিয়ে করতে পারে না। এই কারণে পবিত্র কুরআনে
মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন,
" তোমাদের মধ্যে যারা বিবাহ হীন তাদের বিয়ে সম্পাদন করে দাও। এবং
তোমাদের দাস ও দাসীদের মধ্যে যারা সৎকর্মপরায়ণ তাদেরও। তারা যদি
নিঃস্ব হয় তবে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে সচ্ছল করে দেবেন। আল্লাহ
প্রাচুর্যময় সর্বাজ্ঞ। যারা বিবাহে সমর্থ নয় তারা যেন সংযম অবলম্বন
করে যে পর্যন্ত না আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দেন" (
সূরা নূর আয়াত ৩২-৩৩ )
অর্থাৎ বিয়ে করলে স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা আর্থিক স্বাবলম্বী করে দেওয়ার
প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তাই প্রাপ্তবয়স্ক হলেই বিয়ে করা উত্তম। এবং যতদিন
না বিবাহ হবে ততদিন পর্যন্ত নিজেকে সংযম অর্থাৎ সকল পাপকর্ম থেকে বিরত
রাখতে হবে।
এছাড়াও স্ত্রীর মোহরের বিষয়ে পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে,
"আর তোমরা স্ত্রীদের কে তাদের মোহর দিয়ে দাও খুশি মনে। তারা যদি খুশি
হয় তা থেকে অংশ ছেড়ে দেয় তবে তা তোমরা স্বাচ্ছন্দ্যে ভোগ করো" (
সূরা নিসা আয়াত ৪ )
আরেকটি আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন,
"সেই সব মেয়েদের মধ্যে থেকে যাদের ভালো লাগে তাদের বিয়ে করে নাও দুই
তিন কিংবা চারটি পর্যন্ত। আর যদি এই রূপ আশঙ্কা করো যে তাদের মধ্যে
ন্যায় সঙ্গত আচরণ বজায় রাখতে পারবে না তবে একটই। অথবা তোমাদের
অধিকারভুক্ত দাসীদেরকে। এতেই পক্ষপাতিত্ব জড়িত না হওয়ার অধিকতর
সম্ভাবনা" ( সূরা নিসা আয়াত ৩ )
উক্ত আয়াত দ্বারা একজন পুরুষ কয়টি বিয়ে করতে পারবে এ সম্পর্কে বলা
হয়েছে। এবং কোন সামর্থ্য থাকলে। উপরোক্ত আয়াতগুলো পরের মাধ্যমে একজন
অবিবাহিত পুরুষ অথবা মহিলা তাদের অধিকার এবং দায়িত্ব সম্পর্কে জানতে পারবে।
এবং এগুলো মানার মাধ্যমেই ইসলামিক ভাবে জীবন গড়ে উঠবে।
৩ দিনের মধ্যে বিয়ে হওয়ার আমল
যেসব ছেলেমেয়েদের বয়স হওয়া সত্বেও বিয়ে হচ্ছে না। বা তার ছোট ভাই বোনদের
বিয়ে হচ্ছে কিন্তু তার বিয়ে হচ্ছে না। কিংবা আপনি খুব দ্রুত বিয়ে
করতে চান। তাহলে উক্ত আমলটি আপনার জন্য আল্লাহ তায়ালা চাইলেই তিন দিনের
মধ্যে আমল করলে বিবাহ হতে পারে। প্রতিদিন ফরজ নামাজ শেষে উক্ত আমলগুলো
করতে হবে
ফজরের নামাজ শেষে দুরুদে ইব্রাহিম বা অন্য যেকোনো দুরুদ শরীফ তিনবার
অথবা সাতবার অথবা এগারো বার পড়তে হবে। এরপর সূরা ইয়াসিন ৪১ বার এবং শেষে
আবার তিন অথবা সাত অথবা 11 বার দুরুদ শরীফ পড়তে হবে। যদি আপনি একদিনে সুরা
ইয়াসিন ৪১ বার পাঠ করতে না পারেন তাহলে তিন ভাগে ভাগ করে এই আমলটি
করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমে 15 বার দ্বিতীয়দিনে 15 বার এবং
তৃতীয় দিনে ১১ বার সূরা ইয়াসিন পড়তে হবে। এবং এর আগে এবং পরে অবশ্যই দুরুদ
শরীফ পাঠ করতে হবে।
৭ দিনের মধ্যে বিয়ে হওয়ার আমল
জন্ম মৃত্যু বিয়ে সবকিছুই মহান আল্লাহতায়ালার আদেশ অনুযায়ী হয়। আল্লাহ
তায়ালা যখন চাইবেন তখনই তার বিবাহ হবে। তবে অনেক ছেলেমেয়েদের ক্ষেত্রেই
দেখা যায় বিয়ের বয়স হওয়া মাত্রই তাদের বিবাহ হয়ে যায়।আবার এরকম অনেকেই
আছে যাদের বিয়ের বয়স পার হয়ে গেলেও বিয়ে হচ্ছে না। তাদের জন্যই আজকের
এই কন্টেন্টটি অর্থাৎ সাত দিনের মধ্যে বিয়ে হওয়ার আমল। সাত দিন এই
আমলগুলো করলে ইনশাল্লাহ আপনার বিয়ে খুব দ্রুত হবে। উক্ত আমলগুলো
হল
বেশি বেশি ইস্তেগফার পাঠ করা। যেই ব্যাক্তি সবসময় ইস্তেগফার বেশি বেশি পাঠ
করে সে মুস্তাজেবুত হয়ে যায়। অর্থাৎ সেই ব্যক্তি যেই দোয়া করবে তা
আল্লাহ তায়ালা কখনই ফেরত দেন না। অর্থাৎ কবুল করেন।
উচ্চারণঃ আসতাগফিরুল্লাহ, আসতাগফিরুল্লাহ।
উচ্চারণঃ আসতাগফিরুল্লাহাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল কাইয়্যুমু ওয়া আতুবু ইলাইহি।সূরা আদ দোহা ও সুরত কায়সারের ২৪ নং আয়াত পড়লে অর্থাৎ যদি কোন ছেলে সূরা আল কাসাস এর ২৪ নম্বর আয়াত ১০০ বার পড়লে মহান আল্লাহ তায়ালা তার বিবাহের খুব দ্রুত ব্যবস্থা করে দেবেন। আয়াতটি হলো।
উচ্চারণঃফাসাক্বা লাহুমা ছুম্মা তাওয়াল্লা ইলাজজিল্লি ফাক্বালা রাব্বি ইন্নি লিমা আংযালতা ইলাইয়্যা মিন খায়রিং ফাক্বির।
হযরত মুসা আলাইহিস সালাম যখন একাকী থাকতেন বা একা অনুভব করতেন তখন উক্ত দোয়াটি পড়তেন।
আর যদি মেয়েরা প্রতিদিন সূরা দোহা 11 বার তেলাওয়াত করে বা পাঠ করে তাহলে মহান আল্লাহ তাআলা তার জন্য উত্তম পাত্রের ব্যবস্থা করে দেবেন।
এছাড়া যেসব ছেলেমেয়েদের বিয়ে হয় না তারা যদি সুরা তওবার ১২৯ নং আয়াত নিয়মিত পাঠ করে তাহলে তাদের খুব দ্রুত বিয়ে হবে ইনশাল্লাহ। এর সাথে 19 বার বিসমিল্লাহ ১১০০ বার সূরা তওবা 129 নং আয়াত ১০০ বার দরুদ শরীফ ও শেষে ১৯ বার বিসমিল্লাহ পড়তে হবে। উক্ত আয়াতটি হলো
উচ্চারণঃ ফাইং তাওয়াল্লাও ফাকুল হাসবিয়াল্লাহু লা ইলাহা ইল্লাহুয়া আলাইহি তাওয়াক্কালতু ওয়া হুয়া রাব্বুল আরশিল আজিম।
এছাড়া ও প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ শেষে আলহামদুলিল্লাহ ৩৩ বার পড়তে হবে
উক্ত আমলগুলো নিয়মিত করলে ইনশাআল্লাহ সাত দিনের মধ্যে বিয়ে হবে।
৪০ দিনের মধ্যে বের হওয়ার আমল
যে সকল ছেলেমেয়েদের বিবাহের বয়স হওয়ার পরেও বিয়ে হচ্ছে না। বা কোনো
কারণে ভেঙে যাচ্ছে। এ সকল কারণ থেকে মুক্তির একমাত্র পথ আল্লাহর নিকট দোয়া
করা ও সাহায্য প্রার্থনা করা। আল্লাহ তায়ালা চাইলেই একমাত্র আপনার
উদ্দেশ্য পূরণ হবে। অর্থাৎ বিয়ে হবে। তাই ৪০ দিনের মধ্যে বিবাহ হওয়ার জন্য
উক্ত দোয়া পাঠ করতে হবে। প্রতিদিন ফজরের নামাজ শেষ করে সূর্যোদয়ের আগে
40 বার করে 40 দিন পর্যন্ত ছেলেরা ডান হাত বাম হাতের কব্জির ওপর রেখে। এবং
মেয়েরা বাম হাত দিয়ে ডান হাতের কব্জি চেপে ধরে "ইয়া ফাতাহ"
পরতে হবে।
"ইয়া ফাতাহ"আল্লাহর এই পবিত্র নামের অর্থ উন্মুক্ত কারী বা
প্রস্তুতকারী। বিবাহ ছাড়াও উক্ত আমলটি ফজরের নামাজ শেষ করে দুই হাতে বুকের
উপর রেখে ৭১ বার তেলাওয়াত করলে বা পাঠ করলে অভাব দূর, হবে মনোবল বৃদ্ধি
পাবে এবং সকল কাজ সহজ হবে ইনশাআল্লাহ।
ছেলেদের তাড়াতাড়ি বিয়ে হওয়ার আমল ও মেয়েদের তাড়াতাড়ি বিয়ে করার হওয়ার আমল
ছেলে ও মেয়েদের আমলের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। অর্থাৎ সাত দিন তিন দিন
ও 40 দিন এর আমল গুলোর মধ্যে যে কোন আমলই যদি করে। তাহলে খুব দ্রুত তাদের
বিবাহ সম্পন্ন হবে। উপরোক্ত পোস্টে উক্ত আমলগুলো খুব সুন্দর ভাবে
বলা হয়েছে। এগুলো যদি ছেলে ও মেয়ে রা নিয়মিত সঠিক নিয়মে আমল করে
ইনশাআল্লাহ খুব দ্রুত আল্লাহ তাআলা তাদের ইচ্ছা পূরণ করবেন।
বিয়ের ক্ষেত্রে মেয়েদের কি দেখা উচিত
বিয়ের ক্ষেত্রে পাত্রী নির্বাচন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
কারণ একটি সংসার বউ এর উপরেই নির্ভর করে এর ভালো মন্দ সুখ শান্তি ইত্যাদি।
তাই বিয়ের ক্ষেত্রে সঠিক পাত্রী নির্বাচন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই
বিষয়ে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদিস ও
বর্ণিত হয়েছে। তাই বিয়ের ক্ষেত্রেই প্রথমেই সঠিক পাত্রী নির্বাচন করতে
হবে
পাত্রী নির্বাচনের জন্য হযরত মুহাম্মদ সাঃ বলেছেন বাহ্যিক সৌন্দর্যের চেয়ে
আত্মিক ও ঈমানের সৌন্দর্যকে প্রাধান্য দিতে হবে। এছাড়া তিনি বলেছেন, "নারীদের চারটি গুন দেখে বিয়ে কর, প্রথমত বংশমর্যাদা দ্বিতীয়তঃ
তার রূপ সৌন্দর্য তৃতীয়ত তার দ্বীনদারী চতুর্থ তার সম্পদ। তবে তুমি
দ্বীনদারীকে বেশি প্রাধান্য দিবে। নতুবা তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে"। সহীহ বুখারী হাদিসন ৫০৯০।
বিয়ের ক্ষেত্রে ছেলেদের কি দেখা উচিত
বিয়ের জন্য যেমন পাত্রী দেখা উচিত ঠিক তেমনি বিয়ের জন্য সঠিক পাত্র খুবই
গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ছেলে নির্বাচন করতে যদি আপনি ভুল করেন তাহলে সেই
সংসারের অশান্তি অভাব অনটন লেগেই থাকবে। তাই বিয়ের জন্য ছেলে নির্বাচনের
জন্য ছেলের সঠিক গুনবলী বিবেচনা করতে হবে। এছাড়াও ছেলের হালাল
কর্মসংস্থান থাকাও খুবই জরুরী। পাত্র নির্বাচনের ক্ষেত্রে মহানবী হযরত
মুহাম্মদ সাঃ বলেছেন,
"তোমাদের কাছে যদি এমন পাত্র বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসে যার দ্বীনদারী ও
চরিত্র তোমাদের কাছে পছন্দনীয় তবে তার সাথে তোমাদের কন্যার বিয়ে দাও। তা
না করলে পৃথিবীতে ফিতনা-ফাসাদ ও বিপর্যয় ছড়িয়ে ঘটবে। সাহাবীগণ
বলেন, হে আল্লাহর রাসূল কিছু ত্রুটি তার মাঝে থাকলেও কি? তিনি বলেন,
তোমাদের কাছে যে লোকদের ধর্মভীরুতা ও নৈতিক চরিত্র পছন্দ হয় সেই লোক
তোমাদের কাছে বিয়ের প্রস্তাব করলে তার সাথে দিয়ে দাও"
এই কথা তিনি বর্ণনাকারীকে তিনবার বলেছেন । তিরমিজি হাদিস নাম্বার১০৮৫।
উক্ত হাদিসের দ্বারা প্রমাণিত হয় বিয়ের জন্য একটি ছেলের
প্রথমত দ্বীনদারিতা দ্বিতীয় চারিত্রিক পবিত্রতা থাকতে হবে। এবং
ছেলের মর্যাদা গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। উপরোক্ত বিষয়গুলো অনুসরণ করেই
বিয়ের জন্য ছেলে নির্ধারণ করতে হবে।
শেষের কিছু কথা
গুগল আমার বিয়ে কবে হবে। উপরোক্ত কনটেন্টে এই বিষয়টি বিশদভাবে আলোচনা করা
হয়েছে। বিয়ে ইসলামিক দৃষ্টিতে খুবই ভালো একটি বিষয়। বিয়েকে আল্লাহ
তায়ালা ফরজ ইবাদত হিসেবে গণ্য করেছেন। একজন মুমিনের বিবাহের মাধ্যমে ঈমানের
দৃঢ়তা বৃদ্ধি পায়। এবং বিয়ের মাধ্যমে একজন মুমিন ব্যক্তির বা একজন ধার্মিক
নারীর দৃষ্টি ও চরিত্র সুন্দর থাকে। বিয়েই হল পরিবার গঠনের একমাত্র
শ্রেষ্ঠ উপায়। তাই প্রাপ্তবয়স্ক হলেই ইসলামিক নিয়ম অনুযায়ী বিবাহ সম্পন্ন
করতে হবে। এবং বিয়ে করার পরে রিজিকের ব্যবস্থা স্বয়ং আল্লাহ তাআলা করে
দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
উপরোক্ত কনটেন্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়লে বিয়ের বিষয়ে সকল সমস্যার সমাধান
পাবেন ইনশাআল্লাহ। তাই উক্ত পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। এবং উপরোক্ত নিয়ম
গুলো অনুসরণ করে সঠিক নিয়মে বিবাহ করে জীবনকে সুখময় করে তুলুন। আজকের এই
পোস্টটি যদি আপনার ভালো লাগে বা উপকৃত হন তাহলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
.webp)
.webp)
.webp)
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url