সোনার দাম কমেছে (নভেম্বর মাস 2025) ।

সোনা বর্তমান পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি পণ্য। যার জনপ্রিয়তা আদিমকাল থেকে আজ পর্যন্ত কখনোই কমেনি। বিগত কয়েক বছর থেকে সোনান দাম প্রতিনিয়তই বেড়েই চলেছে। মহিলাদের অলংকার হিসেবে,

সোনা প্রতিনিয়তই ব্যবহার হয়ে আসছে। আবারো বাড়ছে সোনার দাম। আজকে আমরা সোনার দামের সর্বশেষ আপডেট সম্পর্কে জানব। বিস্তারিত জানতে আমাদের সাথেই থাকুন।

পেজসূচি পত্রঃ সোনার দাম কমেছে (নভেম্বর মাস 2025) ।


সর্বশেষ নভেম্বর মাসে সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী  ২২ ক্যাডেট সোনা দাম কমেছে প্রতি ভরিতে ৫৪৪৭ টাকা। এবং ২১ ক্যারেটের সোনা প্রতি ভরিতে দাম কমেছে ৫১৯৯ টাকা।
  • ২১ ক্যারেট সোনার দামঃ এক ভরি সোনার দাম ১ লক্ষ ৯৮হাজার ৮০১ টাকা(বর্তমান)। আগে ছিল ২,০৪,০০০ টাকা । ২১ ক্যারেটের সোনা প্রতি ভরিতে দাম কমেছে ৫১৯৯ টাকা।
  • ২২ ক্যারেটঃ সোনার দাম ২ লক্ষ ০৮ হাজার ২৭২ টাকা(বর্তমান)। আগে ছিল ২,১৩,৭১৯ টাকা । দাম কমেছে প্রতি ভরিতে ৫,৪৪৭ টাকা।
  • ১৮ ক্যারেটঃ প্রতি ভরিতে প্রায় ১ লক্ষ ৭০ হাজার ৩৯৯ টাকা(বর্তমান)। আগে ছিল ১,৭৪,৮৫৫ টাকা। দাম কমেছে প্রতি ভরিতে ৪,৪৫৬ টাকা। 
  • সনাতন পদ্ধতি সোনাঃ প্রতি ভরিতে ১ লক্ষ ১৪১ হাজার ৭১৮ টাকা(বর্তমান)। আগে ছিল ১,৪৫,৫২০ টাকা। দাম কমেছে প্রতি ভরিতে ৩,৮০২ টাকা।

কোন ক্যারেটের সোনা ভালো


ক্যারেটের সোনা সবচেয়ে ভালো, এটা নির্ভর করে প্রয়োজন ও ব্যবহারের উপর। 24 ক্যারেটের সোনা সবচেয়ে বিশুদ্ধ ও মূল্যবান। কিন্তু এটি নরম হওয়ায় গহনা তৈরিতে ব্যবহার একেবারেই কম ব্যবহার হয়। অন্যদিকে ২২ ক্যারেট সোনার গহনা তৈরিতে সবচেয়ে বেশি উপযোগী। কারণ এতে থাকা অন্যান্য ধাতু এটিকে মজবুত ও শক্তিশালী করে।
  1. বিশুদ্ধতা ও বিনিয়োগের জন্যঃ আপনি যদি সর্বোচ্চ বিশুদ্ধতা ও বিনিয়োগের জন্য সোনা ব্যবহার করতে চান বা কিনতে চান তাহলে ২৪ ক্যারাটে শূন্য সবচেয়ে ভালো কারণ এটিতে ১০০% খাঁটি সোনা থাকে যাতে কোন ধাতু মেশানো হয় না
  2. গহনা তৈরীর জন্যঃ সাধারণত ২২ ক্যারেটের সোনা সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং উপযোগী। কারণ এতে থাকা অন্যান্য ধাতু যেমন তামা, দস্ত, রুপা ইত্যাদি। এটা সোনাকে শক্ত করে তোলে যা গহনা টেকশয় করে এবং দেখতেও আকর্ষণীয় করে তোলে।

ক্যারেটের অর্থ

  • 22 ক্যারেটঃ এটি 91.67% সোনা থাকে এবং বাকিটা অন্যান্য ধাতু থাকে এটি ৯১৬ সোনা নামেও পরিচিত।
  • ২৪ ক্যারেটঃ এটি খাঁটি সোনা অর্থাৎ ৯৯.৯৯% সোনা থাকে
  • একুশ ক্যারেটঃ এতে ৮৭.৫% সোনা এবং বাকিটা অন্যান্য ধাতু থাকে।, এটি ২২ ক্যারেটের তুলনায় কম খাঁটি কিন্তু কখনো তৈরিতে ব্যবহার করা যায়।
  • ১৮ক্যারেটঃ  এটি তে ১৮ ভাগ শোনা থাকে এবং 6 ভাগ অন্যান্য ধাতু থাকে অর্থাৎ৭৫% সোনা থাকে।

সোনার সাধারণত ব্যবহার

সোনা সাধারণত গহনা তৈরিতে বিনিয়োগ ও সঞ্চয় ইলেকট্রনিক শিল্পে দন্ত চিকিৎসা আধুনিক চিকিৎসা যেমন ক্যান্সার চিকিৎসায় এছাড়াও শিল্পকলা ইত্যাদিতে সোনার ব্যাপক ব্যবহার হয়ে থাকে।

    * গহনা ও অলংকার


    পৃথিবীর উৎপাদিত প্রায়ই ৫০% সোনা গহনা ও অলংকার তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।

    * বিনিয়োগ ও সঞ্চয়


    গহনা ছাড়াও কোন একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ যা সঞ্চয়ের মাধ্যমে ব্যবসা করা যায়। অনেকেই ভবিষ্যতের জন্য সোনা কিনে রাখে এবং দাম বাড়লে তা বিক্রি করে ব্যবসা করে থাকে।

    এছাড়াও চিকিৎসা ক্ষেত্রে শিল্প ও সজ্জা ক্ষেত্রে এবং অন্যান্য ব্যবহারের মধ্যে পানি ও খাওয়ার এতেও সোনার ব্যবহার হয় । ক্যান্সারের মত ভয়াবহ রোগ চিকিৎসায়ক সোনার ব্যবহার করা হয়।

    প্রযুক্তি এবং ইলেকট্রনিক্স

    বৈদ্যুতিক পরিবাহিতাঃ সোনার চমৎকার পরিবাহিতা ক্ষয় প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং নমনীয়তা এটিকে ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রাংশ যেমন স্মার্টফোন কম্পিউটার এবং অন্যান্য গ্রাজুয়েট এর ব্যবহারের জন্য আদর্শ করে তোলে।
    মহাকাশঃ মহাকাশযান ও স্যাটেলাইট এর ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া যায়।

    চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য

    দন্ত চিকিৎসাঃ দাঁতের ফিলিং বা ক্রাউন তৈরিতে সোনা ব্যবহার হয়ে থাকে।
    আধুনিক চিকিৎসাঃ পেসমেকার মাইক্রোচিপ এবং আরো আধুনিক মেডিকেল ডিভাইস গুলোতে সোনার ব্যবহার হয়ে থাকে।

    ঔষধঃ কিছু কিছু ঔষধে তৈরিতেও সোনার  ব্যবহার করা হয়। এবং এর কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে বলে বিশ্বাস করা হয় যেমন প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য সমূহ ইত্যাদি।
    এছাড়াও অন্যান্য ক্ষেত্রেও সোনার ব্যবহার করা হয় যেমন কলা এবং পুরস্কার খাদ্য ইত্যাদি ক্ষেত্রেও সোনার ব্যাপক ব্যবহার হয়ে আসছে।

    সোনার দামের বাড়ার কারণ

    বর্তমানে সোনার দাম বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হচ্ছে সোনার মজুদ করা। যা পশ্চিমা বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলো পর্যাপ্ত পরিমাণে সোনা মজুদ করছে। যার ফলে সোনা সরবরাহ যেমন বাড়ছে তেমনি বাড়ছে এর চাহিদা অর্থাৎ মজুদ করার প্রয়াস। তাই গোটা বিশ্বেই সোনার দাম বৃদ্ধির এই প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। কেন তারা সোনা মজুদ করছে?

    আমেরিকান শুল্ক নীতি নিয়ে টানাপোড়া চল। যারফলে, চীন রাশিয়া ভারত সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বৈঠকে মধ্যপ্রাচ্যের ইসরাইল সংক্রান্ত উত্তেজনা এসব কারণেই ডলারের প্রতি মানুষের আস্থা কমছে। যার ফলে চীন ভারত ও অনেক দেশ নিরাপদ বিনিয়োগ জন্য স্বর্ণ মজুদ করছে।
    এছাড়াও বর্তমান সময়ের বিভিন্ন অসিতিশীল পরিস্থিতির কারণে স্বর্ণের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে।

    সোনার হিসাব

    সোনার হিসাব ভরি এবং গ্রাম এই দুই ভাবে করা যাই । ১ ভরি সোনা =১১.৬৬৪ গ্রাম। এছাড়াও সোনার ভরিকে দেশীয় হিসাবে আরোও ছোট এক ভাগে ভাগ করা হয় । ১ ভরি = ১৬ আনা এবং ১ আনা = ৬ রতি।

    স্বর্ণের হিসাব

    • ভরি এবং গ্রামের হিসাব 

    ১ ভরি =১১.৬৬৪ গ্রাম

    আপনি যদি গ্রামে হিসাব করেন তাহনে মোট গ্রামকে ১১.৬৬৪ দ্বারা ভাগ করলে ভরির হিসাব পাওয়া যাবে । যেমন ১১.৬৬৪ গ্রাম / ১১.৬৬৪= ১ ভরি।

    ভরি এবং অন্যান্য একক

    • ১ ভরি সমান ১৬ আনা
    • ১ আনা সমান ৬ রতি 
    • ১ ভরি = ১৬আনা * ৬রুতি / আনা = ৯৬ রতি

    আসল সোনা চেনার উপায়

    চুম্বক পদ্ধতি

    চুম্বক পদ্ধতির মাধ্যমে আসল সোনা পরীক্ষা করা যায়। আপনার কাছে যদি শক্তিশালী চুম্বক থাকে তাহলে চুম্বকটিকে সোনার টুকরার কাছে রেখে দিন এবং এটিতে আকৃষ্ট হয়েছে কিনা তা আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন। চুম্বক কখনো খাট মেশানো সোনাকে আকৃষ্ট করে না। তাই আপনি সহজেই আসল এবং নকল সোনার পার্থক্য করতে পারবেন।
    চুম্বুক যেহেতু সহজেই পাওয়া যায় তাই ঘরোয়া ভাবে আপনি সহজেই আসল সোনা পরীক্ষা করতে পারবেন। এছাড়াও সোনাতে কখনো মরিচা পড়ে না। তাই আপনি যদি দেখেন সোনায় মরিচা পরেছে তাহলে সহজেই বুঝতে পারবেন এটা নকল সোনা।

    হলমার্ক

    খাঁটি সোনা কিনা তা সহজেই নির্ধারণ করতে হলমার্ক সার্টিফিকেশন দেখুন। হলমার্ক থাকলে আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন এটা আসল সোনা।

    ভিনেগার টেস্ট

    এটি একটি জনপ্রিয় পরীক্ষা কারণ প্রতিটি রান্নাঘরেই ভিনেগার থাকে। তাই সহজেই ভিনেগার দিয়ে সোনা পরীক্ষা করা যায়। সোনাতে ভিনেগার দেওয়ার পর যদি সোনার রং পরিবর্তন হয়। তাহলে বুঝতে পারবেন এটা নকল সোনা। সাধারণত আসল সোনায় ভিনেগার দিলেও রং একই থাকে।
    উপরোক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে আপনি সহজেই ঘরোয়া পদ্ধতিতে আসলে এবং নকল শোনার পার্থক্য করতে পারবেন।

    শেষের কিছু কথা

    বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত একটি পণ্য হল সোনা। কারণ বিগত কয়েক বছর থেকে সোনার দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই আপনি যদি সোনা নিয়ে ব্যবসা করতে চান। তাহলে আপনি এই খাতে নির্দ্বিধায় ইনভেস্ট করতে পারেন। কারণ গবেষণায় জানা যায় সোনার দাম আরো বৃদ্ধি পাবে।
    এছাড়াও প্রতিনিয়তই সোনার ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে তাই আপনি যদি এই খাতে ইনভেস্ট করেন তাহলে সহজেই বেশ টাকা উপার্জন করতে পারবেন। আজকের আর্টিকেলটা পড়ে যদি আপনি উপকৃত হন তাহলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।




    এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

    পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
    এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

    অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

    comment url

    Md.Mashud Rana
    Md.Mashud Rana
    আমি একজন ডিজিটাল মার্কেটর। আমি আর্টিকেল লেখা থেকে শুরু করে সব ধরনের ডিজিটাল মার্কেটিং কাজ সম্পর্কে অবগত আছি। সব সময় আপনাদের সেরা কিছু দেওয়ার চেষ্টা করি।